স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে রাজধানীর বিজয় সরণির কাছে নভোথিয়েটারের সামনে ঢাকা মহানগরের জননিরাপত্তা জোরদারে চলমান বিশেষ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এতে ঢাকার অলিগলিতে টহল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ঢাকার প্রতিটি মোড়ে পুলিশের টহল ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। আতঙ্ক কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খুব দ্রুতই এর সুফল পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরিদর্শনে আসতে পারতেন কি-না, এমন প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ জানান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও নিয়মিত পরিদর্শন করছেন, তবে তিনি মিডিয়ার সামনে আসেন কম। তিনি ও তার টিম প্রতি রাতেই শহর ঘুরে দেখছেন এবং টহল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রচার না হলেও সরকার তার দায়িত্ব পালন করছে।
একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মহাপরিচালক বলেছেন, দেশে চাঁদাবাজি কমে আসার কারণে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, এটি ওই কর্মকর্তার ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে। বাস্তবে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর চাঁদাবাজির মাত্রা আরও বেড়েছে। যারা আগে চাঁদা তুলতেন, তাদের জায়গায় নতুন লোক চলে এসেছে, এবং এসবের পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক জায়গায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে নিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। এতে অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক জায়গা থেকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
